1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
ডুমুরিয়ায় বাবার প্রতি অন্যায় অবিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন। - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| দুপুর ১:০৫|

ডুমুরিয়ায় বাবার প্রতি অন্যায় অবিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন।

মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন// খুলনা ব্যুরো।।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩১, ২০২২,
  • 449 Time View
আমার বাবা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া গ্রামের  জমিদার বাড়ির ছেলে। এক সময় তিনি  আমেরিকাতে প্রবাস জীবন কাটালেও মাতৃভূমির মায়ায় তিনি এলাকায় বসবাস করছেন।
এলাকায় থেকে সাধারণ মানুষের পাসে দাঁড়ানোর সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন তিনি। অথচ আমার বাবার  বিরুদ্ধে গত বছর আগস্ট মাসে ২০২১ সাল হতে আমার বড় চাচা ড.এস,কে বাকার এর প্ররোচনা ও সহযোগিতায় ছোট চাচা বাশারুজ্জামান সরদার কয়েকটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেছেন। সেই থেকে আমার বাবার উপর বিভিন্ন ধরণের তার উপর চলছে দুর্বিসহ অত্যাচার, জীবন নাশের হুমকি এবং  ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ডুমুরিয়ার ধামালিয়া গ্রামের ফুটবল মাঠ নামক স্থানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী সরদার মাশরুক হাসান বুলুর মেয়ে ড. তাজিয়া সরদার এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন,আমার ছোট চাচা  বাসরুজ্জামান ব্যবসায়ে লোকশান করে দেউলিয়া হয়ে ২০১০ সালে আমার বাবার কাছে তার স্থাবর অস্থাবর সব সম্পত্তি সাব – কবলা দলিল মূলে বিক্রি করে দেন । বিষয়টা পরিবারের সবাই  এবং গ্রামেরও অনেকেই জানেন । অথচ ১১ বছর পর এসে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বিক্রিত জমির দলিল জাল দাবী করে বাশারুজ্জামান আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলার তদন্তের দায়ীত্ব দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই আমার বাবার দলিল সঠিক মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাসরুজ্জামান গত ১ ফেব্রুয়ারি  আমার বাবার গরুর ফার্ম জবর দখল এবং বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেন । আমার অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা প্রায় ৬ ঘন্টা রাতে শীতের মধ্যে থাকার পরে , পুলিশ এর সহায়তায় বাড়িতে ঢুকতে পারেন। পরবর্তিতে বাশারুজ্জামান আমার বাবা , আমার হাসব্যান্ড এবং আমাকে সহ গ্রামের গন্যমান্য কিছু নিরীহ  মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ সাজিয়ে আদালতে ২টি  মামলা দিয়েছে।  অথচ আমরা তখন খুলনাতে ছিলাম না । তিনি আরো জানান, গত ২৮মার্চ  সোমবার দুপুরে  আমার  অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসা প্রতিবেশী পুত্র-বধু সম্পর্কের ৩ জন মহিলাকে আমার অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসেন । তারা আসার পরই ড. বাকার সাহেব এর নির্দেশে  বাড়ির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আমার বাবা তার কেয়ারটেকার এবং ৩ জন মহিলাকে ঘরে অবরুদ্ধ করে ফেলে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার অপচেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে অনেক অনুনয় বিনয়ের পর তালা খুলে দেয়া হয়। কিন্তু বাকার সাহেব এই ৩ মহিলাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতে ফেলে দেয় ।
নির্যাতিত মহিলারা বিষয়টি নিয়ে নারী নির্যাতন মামলা করতে চাইলে বাকার সাহেব এবং তার কিছু লোকজন মিলে আমার বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে তার দ্বিতীয় কক্ষ ছেড়ে দেওয়া এবং তার দেখ ভালের জন্যে নিয়োজিত কেয়ার টেকার কে নিচে নামিয়ে দেয়। মোবাইল ফোনে আমরা ঘটনাটি শুনে স্থানীয়  প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেখানে বাকার সাহেবের বাড়ি ভর্তি ৮-১০ জন লোক তার সেবায় নিয়োজিত সেখানে আমার অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা কেন একটি মাত্র ছেলেকে তার সেবায় নিয়োজিত রাখতে পারবে না ? তাদের উদ্যেশ্য ছিল আমার বাবাকে একদম একা করে ফেলে তার জীবন নাশের চেষ্টা । তারা বলে যে আমার বাবাকে উপরের তলায় তার নির্মিত এবং বসবাসের ঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে । আমার বাবা দুপুর থেকে অভুক্ত থাকে এবং প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যেও নিজেকে সামলে জানিয়ে দেয় সে তার কক্ষ ছেড়ে দেবেন না ।
 এরপর তারা গভীর রাতে আমার বাবার ঘরের তালা ভেঙে , সেখানে তাদের নিজস্ব তালা লাগিয়ে দিয়ে তার কক্ষ দখল নেয় ।
বাড়ীতে আমার বাবা একেবারেই একা , নিরুপায় , অসহায় অবস্থায় কিছু করতে পারেনা শুধু আমাদেরকে জানায়। গতকাল(বুধবার) জানতে পারি বাকার সাহেবের নির্দেশে এবং প্রশাসনের উপস্থিতিতে তার লোকজন সাগর , মামুন , ফারুক , রিমু সহ আরো কয়েকজন আমার বাবার ঘরের জিনিসপত্র সব বের করে নিচে , বাইরে এখানে সেখানে ফেলে দেয়। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে তিনি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page