হবিগঞ্জের বাহুবলে পাহাড়ি নির্জন এলাকা অপরাধীদের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে পরিণত হয়েছে। নারী-নির্যাতন, হত্যা,চোর-ডাকাত সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত লোকেরা এখানে আনাগোনা করে থাকেন।
বিভিন্নজনের প্রদত্ত ভাষ্যমতে এমনিই তথ্যাদি বেড়িয়ে এসেছে। জানা যায়, উপজেলার উপরদিয়ে আঞ্চলিক ও বর্তমান মহাসড়ক বয়ে গেছে। এছাড়া অধিকাংশ এলাকাজুড়ে পাহাড় বেষ্টিত। আঞ্চলিক মহাসড়কপথেই চা,রাবার ও পাহাড়ি জঙ্গল অবস্থিত। সন্ধা ঘনিয়ে আসার আগেই অন্ধকার নেমে আসে। এ সুযোগে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে পাহাড়ের নির্জন এলাকায় প্রবেশ করছে। প্রতারণার ফাঁত পেলে নির্জন জঙ্গলে আটকিয়ে নিরীহ লোকজনকে মারপিট করত: জিন্মি রেখে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া তাদের নতুন কিছুনা বলে অনেকেই জানান। উপজেলার সুন্ড্রাটিকি গ্রামের মুজাম্মিল হক নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী জানান, তিনি গত ২৭ আগষ্ট সকালের দিকে বাহুবল বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে সায়েদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি তাকে এগিয়ে দেওয়ার কথা বলে পাহাড়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে অবস্থানরত সফিক মিয়া সহ আরও কথেক ব্যক্তি মুজাম্মিলকে আটকিয়ে মারপিট করে এবং ৩ লাখ টাকা তাদের দিতে হবে বলে জানানো হয়। এতে মুজাম্মিল হকের স্ত্রী সেখানে গিয়ে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে স্বামীকে মুক্তি করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নির্যাতিত ব্যক্তির মোবাইল ফোন সহ সায়েদ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে আটক করে এবং গতকাল শনিবার সকালে আটককৃত ব্যক্তিকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এদিকে,আবুল কালাম ও জুনাঈদ মিয়া জানান, কাঠ ব্যবসায়ী মুজাম্মিল হককে পাহাড়ে আটকিয়ে মারপিট ও জিন্ম রেখে আড়াই লাখ টাকা সহ মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার পর পুলিশ সায়েদ মিয়াকে আটক করে এবং তার নিকট হতে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তবেঁ আটক ব্যক্তিকে কোর্টে প্রেরণ করা হলেও উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ হিসেবে দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত মুজাম্মিল হক ও জুনাঈদ মিয়া এবং আবুল কালাম।